আমাদের অবস্থা এই যে, দুনিয়ার ভালবাসা কম হওয়ার নাম নেই আর সব সময় দুনিয়ার নেয়ামত সমূহ এবং আরাম আয়েশ বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালু রয়েছে যেখানে আল্লাহ্ তা‘আলার নেক বান্দা এবং সত্যিকার নবী প্রেমিকগণ দুনিয়ার প্রবৃত্তি থেকে মুক্তি এবং দুনিয়ায় নেয়ামতের কম হওয়ার উপর শুকরিয়া জ্ঞাপনকারী হতেন, যেমন; “শুকর কি ফাযায়িল” এর ৬৮ পৃষ্ঠায় প্রদত্ত একটি শিক্ষামূলক বর্ণনা শুনুন এবং শিক্ষা গ্রহণ করুন। হযরত সায়্যিদুনা মাজমা আনসারী (রাঃ)এক বুযুর্গ সম্পর্কে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: ‘আল্লাহ্ তা‘আলার আমাকে দুনিয়ার আরাম আয়েশসমূহ থেকে বাঁচিয়ে নেওয়ার দয়া, দুনিয়ার ধন সম্পদের প্রশস্ততা রূপে মিলিত নেয়ামত থেকে উত্তম। কেননা! আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর প্রিয় নবী (সাঃ)এর জন্য দুনিয়াকে পছন্দ করেননি। এজন্য আমার ঐ নেয়ামতসমূহ যা আল্লাহ্ তা‘আলা নিজের প্রিয় নবী (সাঃ) এর জন্য পছন্দ করেছেন তা ঐ নেয়ামত থেকে অধিক প্রিয় যা আল্লাহ্ তা‘আলা তার প্রিয় নবী, রাসুলে আরবী (সাঃ) এর জন্য অপছন্দ করেছেন।’ (শুআবুল ঈমান, ৪র্থ খন্ড, ১১৭ পৃষ্ঠা, হাদীস-৪৪৮৯, সংক্ষেপিত) দুনিয়ার ধন সম্পদের আধিক্যতা এবং এটার উত্তম আরাম আয়েশসমূহ নিঃসন্দেহে নেয়ামত কিন্তু এসব জিনিস থেকে বেঁচে থাকা এর চেয়ে বড় নেয়ামত।
ইসলামের শুধু নাম বাকী থাকবে
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বাস্তবে অবস্থা খারাপ থেকে আরো খারাপ হতে চলেছে। এমন লাগছে, এখন ইসলামের শুধু নামই রয়ে গেছে। শত কোটি আফসোস! মুসলমানদের জীবন যাপনের ধরণ অধিকাংশ অমুসলিমদের মন হয়ে গেছে। খুব মনোযোগ সহকারে এ বর্ণনাটি শুনুন এবং অনুধাবন করুন, আর যদি সম্ভব হয় তবে কান্না করুন, যেমন- হযরত আলী (খাঃ) থেকে বর্ণিত; আল্লাহ্ তা‘আলার প্রিয় মাহবুব (সাঃ) এর বাণী হচ্ছে: “অতিশীঘ্রই মানুষের উপর ঐ সময় আসবে, যখন শুধু ইসলামের নাম এবং কুরআনের রীতিনীতিই (রসম) বাকী থাকবে, তাদের মসজিদ সমূহ আবাদ হবে, কিন্তু হেদায়েতশূন্য হবে। তাদের আলিমগণ আসমানের নিচে সবচেয়ে নিকৃষ্ট সৃষ্টিতে পরিণত হবে, তাদের থেকে ফিতনা ফ্যাসাদ বের হবে এবং পূনরায় তাদের দিকে প্রত্যাবর্তন করবে।”
প্রত্যেক মসজিদ থেকে লাউড স্পিকারের মাধ্যমে দরসের আওয়াজ তো আসবে কিন্তু ঐ বেদ্বীন আলিমদের) ঐ দরস হত্যাকারী বিষের মত হবে। যাতে কুরআনের নামে কুফর ও অবাধ্যতা পান ছড়িয়ে দেওয়া। (হাদীস শরীফের শেষের অংশের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন) অর্থাৎ-বেদ্বীন খারাপ আলিমগণের (অর্থাৎ-খারাপ মাযহাব এবং খারাপ আমলের আলিমদের) আধিক্য হবে। যাদের ফিতনা সমস্ত মুসলমানদের এভাবে ঘিরে ফেলবে যেভাবে বৃত্তকারের লিখার মত যে, যেখান থেকে শুরু য় সেখানে পৌছে বৃত্তকে পরিপূর্ণ করে দেয়। (মিরআতুল মানাজিহ, ১ম খন্ড, ২২৯ পৃষ্ঠা) (শুআবুল ঈমান, ২য় খন্ড, ৩১১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-১৯০)
শুধু নামের মুসলমান অবশিষ্ট থাকবে
প্রখ্যাত মুফাস্সির হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খান (রাঃ) এ হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায় বলেন: “(ইসলামের শুধু নামই বাকী থাকবে) অর্থাৎ তা এভাবে যে, মুসলমানদের ইসলামী নাম হবে এবং নিজেকে নিজে মুসলমানও বলবে কিন্তু চাল-চলন সব কাফিরদের মত হবে যেমন; আজকাল দেখা যাচ্ছে, অথবা ইসলামের রুকন সমূহের নাম ও আকৃতি অবশিষ্ট থাকবে কিন্তু উদ্দেশ্য রহিত হয়ে যাবে। (যেমন) নামাজের ধরণ বাকী থাকবে কিন্তু বিনয় ও নম্্রতা থাকবেনা। যাকাত দিবে কিন্তু জাতির রক্ষণাবেক্ষণ শেষ হয়ে যাবে। হজ্জ করবে কিন্তু শুধুমাত্র ভ্রমন (ও বিনোদনের) জন্য। জিহাদ হবে কিন্তু শুধুমাত্র দেশের রাজত্ব ও স¤্রাজ্য অর্জনের জন্য।” মুফতী সাহেব (রাঃ) হাদীস শরীফের এ অংশের (কুরআনের শুধু রীতিনীতি বাকী থাকবে) বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন: “রীতিনীতি নকশাকেও বলে আবার পদ্ধতিকেও বলে। এখানে দু’অর্থই বিশুদ্ধ। অর্থাৎ-কুরআনের চিত্রাবলী কাগজে এবং শব্দাবলী মুখের উপর হবে কিন্তু অন্তরে সম্মান এবং শরীরে আমল হবে না অথবা আনুষ্ঠানিকতার জন্য কুরআন পড়া বা রাখা হবে। আদালতে মিথ্যা শপথ করার জন্য এবং মৃতব্যক্তির জন্য পড়ার উদ্দেশ্যে (এর ব্যবহার তো হবে কিন্তু) আমল (করার) জন্য খ্রীষ্টানদের নিয়ম-কানুন হবে। (হাদীসের এই অংশে “তাদের মসজিদ সমূহ আবাদ হবে, কিন্তু হিদায়তশূন্য হবে” থেকে উদ্দেশ্য এই যে) মসজিদ সমূহের বিল্ডিং চমৎকার হবে। চারিদিকের দেয়াল কারুকার্য দ্বারা সজ্জিত হবে। বিদ্যুতের সংযোজন ও খুব চমৎকার হবে কিন্তু কোন নামাযী হবে না। তাদের ইমাম বেদ্বীন, মসজিদ সমূহ যেন হেদায়তের পরিবর্তে বেদ্বীন লোকদের আড্ডাখানায় পরিণত হবে। প্রত্যেক মসজিদ থেকে লাউড স্পিকারের মাধ্যমে দরসের আওয়াজ তো আসবে কিন্তু (ঐ বেদ্বীন আলিমদের) ঐ দরস হত্যাকারী বিষের মত হবে। যাতে কুরআনের নামে কুফর ও অবাধ্যতা পান ছড়িয়ে দেওয়া। (হাদীস শরীফের শেষের অংশের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন) অর্থাৎ-বেদ্বীন খারাপ আলিমগণের (অর্থাৎ-খারাপ মাযহাব এবং খারাপ আমলের আলিমদের) আধিক্য হবে। যাদের ফিতনা সমস্ত মুসলমানদের এভাবে ঘিরে ফেলবে যেভাবে বৃত্তকারের লিখার মত যে, যেখান থেকে শুরু হয় সেখানে পৌছে বৃত্তকে পরিপূর্ণ করে দেয়। (মিরআতুল মানাজিহ, ১ম খন্ড, ২২৯ পৃষ্ঠা)
ইসলামের শুধু নাম বাকী থাকবে
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বাস্তবে অবস্থা খারাপ থেকে আরো খারাপ হতে চলেছে। এমন লাগছে, এখন ইসলামের শুধু নামই রয়ে গেছে। শত কোটি আফসোস! মুসলমানদের জীবন যাপনের ধরণ অধিকাংশ অমুসলিমদের মন হয়ে গেছে। খুব মনোযোগ সহকারে এ বর্ণনাটি শুনুন এবং অনুধাবন করুন, আর যদি সম্ভব হয় তবে কান্না করুন, যেমন- হযরত আলী (খাঃ) থেকে বর্ণিত; আল্লাহ্ তা‘আলার প্রিয় মাহবুব (সাঃ) এর বাণী হচ্ছে: “অতিশীঘ্রই মানুষের উপর ঐ সময় আসবে, যখন শুধু ইসলামের নাম এবং কুরআনের রীতিনীতিই (রসম) বাকী থাকবে, তাদের মসজিদ সমূহ আবাদ হবে, কিন্তু হেদায়েতশূন্য হবে। তাদের আলিমগণ আসমানের নিচে সবচেয়ে নিকৃষ্ট সৃষ্টিতে পরিণত হবে, তাদের থেকে ফিতনা ফ্যাসাদ বের হবে এবং পূনরায় তাদের দিকে প্রত্যাবর্তন করবে।”
প্রত্যেক মসজিদ থেকে লাউড স্পিকারের মাধ্যমে দরসের আওয়াজ তো আসবে কিন্তু ঐ বেদ্বীন আলিমদের) ঐ দরস হত্যাকারী বিষের মত হবে। যাতে কুরআনের নামে কুফর ও অবাধ্যতা পান ছড়িয়ে দেওয়া। (হাদীস শরীফের শেষের অংশের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন) অর্থাৎ-বেদ্বীন খারাপ আলিমগণের (অর্থাৎ-খারাপ মাযহাব এবং খারাপ আমলের আলিমদের) আধিক্য হবে। যাদের ফিতনা সমস্ত মুসলমানদের এভাবে ঘিরে ফেলবে যেভাবে বৃত্তকারের লিখার মত যে, যেখান থেকে শুরু য় সেখানে পৌছে বৃত্তকে পরিপূর্ণ করে দেয়। (মিরআতুল মানাজিহ, ১ম খন্ড, ২২৯ পৃষ্ঠা) (শুআবুল ঈমান, ২য় খন্ড, ৩১১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-১৯০)
শুধু নামের মুসলমান অবশিষ্ট থাকবে
প্রখ্যাত মুফাস্সির হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খান (রাঃ) এ হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায় বলেন: “(ইসলামের শুধু নামই বাকী থাকবে) অর্থাৎ তা এভাবে যে, মুসলমানদের ইসলামী নাম হবে এবং নিজেকে নিজে মুসলমানও বলবে কিন্তু চাল-চলন সব কাফিরদের মত হবে যেমন; আজকাল দেখা যাচ্ছে, অথবা ইসলামের রুকন সমূহের নাম ও আকৃতি অবশিষ্ট থাকবে কিন্তু উদ্দেশ্য রহিত হয়ে যাবে। (যেমন) নামাজের ধরণ বাকী থাকবে কিন্তু বিনয় ও নম্্রতা থাকবেনা। যাকাত দিবে কিন্তু জাতির রক্ষণাবেক্ষণ শেষ হয়ে যাবে। হজ্জ করবে কিন্তু শুধুমাত্র ভ্রমন (ও বিনোদনের) জন্য। জিহাদ হবে কিন্তু শুধুমাত্র দেশের রাজত্ব ও স¤্রাজ্য অর্জনের জন্য।” মুফতী সাহেব (রাঃ) হাদীস শরীফের এ অংশের (কুরআনের শুধু রীতিনীতি বাকী থাকবে) বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন: “রীতিনীতি নকশাকেও বলে আবার পদ্ধতিকেও বলে। এখানে দু’অর্থই বিশুদ্ধ। অর্থাৎ-কুরআনের চিত্রাবলী কাগজে এবং শব্দাবলী মুখের উপর হবে কিন্তু অন্তরে সম্মান এবং শরীরে আমল হবে না অথবা আনুষ্ঠানিকতার জন্য কুরআন পড়া বা রাখা হবে। আদালতে মিথ্যা শপথ করার জন্য এবং মৃতব্যক্তির জন্য পড়ার উদ্দেশ্যে (এর ব্যবহার তো হবে কিন্তু) আমল (করার) জন্য খ্রীষ্টানদের নিয়ম-কানুন হবে। (হাদীসের এই অংশে “তাদের মসজিদ সমূহ আবাদ হবে, কিন্তু হিদায়তশূন্য হবে” থেকে উদ্দেশ্য এই যে) মসজিদ সমূহের বিল্ডিং চমৎকার হবে। চারিদিকের দেয়াল কারুকার্য দ্বারা সজ্জিত হবে। বিদ্যুতের সংযোজন ও খুব চমৎকার হবে কিন্তু কোন নামাযী হবে না। তাদের ইমাম বেদ্বীন, মসজিদ সমূহ যেন হেদায়তের পরিবর্তে বেদ্বীন লোকদের আড্ডাখানায় পরিণত হবে। প্রত্যেক মসজিদ থেকে লাউড স্পিকারের মাধ্যমে দরসের আওয়াজ তো আসবে কিন্তু (ঐ বেদ্বীন আলিমদের) ঐ দরস হত্যাকারী বিষের মত হবে। যাতে কুরআনের নামে কুফর ও অবাধ্যতা পান ছড়িয়ে দেওয়া। (হাদীস শরীফের শেষের অংশের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন) অর্থাৎ-বেদ্বীন খারাপ আলিমগণের (অর্থাৎ-খারাপ মাযহাব এবং খারাপ আমলের আলিমদের) আধিক্য হবে। যাদের ফিতনা সমস্ত মুসলমানদের এভাবে ঘিরে ফেলবে যেভাবে বৃত্তকারের লিখার মত যে, যেখান থেকে শুরু হয় সেখানে পৌছে বৃত্তকে পরিপূর্ণ করে দেয়। (মিরআতুল মানাজিহ, ১ম খন্ড, ২২৯ পৃষ্ঠা)
